কলিকাতা লেটার প্রেস।মাদকতাময় এক নাম।এক প্রাচীনতার আবেশ,আভিজাত্য টের পাওয়া যায়।
যত দূর জানি এই সংস্থা খুব বেশী দিন চালু হয়নি।
কিছু প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন লেখকদের লেখা এই প্রকাশনী থেকে বের হতে দেখেছি।যা
সম্ভ্রম পূর্ন।সুরুচি স ম্পন্ন।২০১৯ বইমেলা উত্তর পর্বে মৃনাল শীল কৃত প্রচ্ছদে
শীলা বিশ্বাসের "নেবুলা মেঘের মান্দাসে" হাতে এলো।কোন গ্রন্থ আলোচনার
আগে এক দোলাচল কাজ করে।পাঠ প্রত্যাশা পুরণ
নাহলে এক সর্পশীতল ঘুম নেমে আসে। প্রকৃত পাঠে সময় খুব কম।যে পাঠ মেধাকে, বোধকে আকর্ষিত
ক রতে পারেনা, আয়ু
জোগায় না সেটা কি পাঠ
হল। সারা ব ছ র ৫ টা বই সংগ্রহে ধার্য মেধাকে চাবকাতে।চাতক
পাখির মত বসে থাকা সেই গ্রন্থ যা আমার আমিকে আমুল নাড়িয়ে দেবে।যা স্নান ও সঙ্গমকে
আমুল নাড়িয়ে দেবে।সম্পর্ক নাড়িয়ে দেবে।
কবি শীলা বিশ্বাস তার অধরা পয়ার ভাসমান স ম্পর্ক ও সম্পর্ক হীনতার
কথা নথিবদ্ধ করেছেন তার তৃতীয় গ্রন্থে।এনার কবিতা আগে খুব কমই
প্রকাশিত দেখেছি।কোন কবির কবিতার গুচ্ছে প্রবেশ না করলে কবির প্রকৃত রামধনু
কাব্যলিঙ্গতার ধারনা করা মুশকিল।
যদিও পূর্ব ধারনা বা ব্যাক্তিগত পরিচয় বা অন্য কোন জাগতিক সম্পর্ক কে
প্রভাবিত করেনা এ আলোচনা।যদিও পাঠক বনাম আলোচক এক প্রতর্কের বিষয়।কেমন আলোচনা হবে
বা মনগ্রাহী কিনা বা মেধা বর্ধক কিনা এই প্রশ্ন ভেসে ওঠে।অনেক বগা গ্রন্থকে দেখেছি
কনে দেখা আলোয় খঞ্জ মেয়ের সাড়ম্বর পাত্র নির্বাচন।প্রশ্ন ওঠে
মাননীয় পাঠক আমি কি আপনাদের মনরঞ্জনের দালাল।যদিও সবাই বৃত্ত আঁকতে পারে
না। আঁকতে চেয়ে তা প্যারাবোলা বা শামুক হয়ে যায়।
অনেক কবির এই চেনাটাই হয়ে ওঠেনি। তবে শীলা
বৃত্ত কে কেন্দ্র থেকে পরিধির পরিমাপে দক্ষ। এই দক্ষতা অনেকের হয়ে ওঠেনা দ
শক উর্দ্ধ চর্চা করেও।আচ্চা কবি টাইটেল কবিতায় দুটো পূ্র্নছেদ কি ছাপার ভুল।
"সে
দেশের বাসিন্দা হব বলে ঘুম থেকে উঠিনি আজ ও।। "
অনন্ত বিস্তৃতি ও আত্ম না বিস্তারের চাপা বেদন ধ্বনিত হ য় এই পংক্তিতে।
"মধ্যবয়স
"কবিতায় এক অসাধারন চিত্র প্রথিত হ য়েছে।।
" সময়ের
সুতো আলগা হচ্ছে রোজ
জোড়া দিলে ছিঁড়ে যাচ্ছে অন্য জায়গায়।"
সম্পর্কের এক নির্ভার ভিয়েন।
পাঠক গ্রাহ্যতার আটপৌরে ভাষ্য।
কোন মার প্যাঁচ নেই। সটান ঢুকে পড়ে অন্দর
মহলে।না কোন তুঙ্গ নাটকীয়তার অঢেল মিশেল।
ওরহান পামুক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে "আমার নাম হ লুদ "উপন্যাস
লেখার সময় কখ নো কোন ধারাবাহিক পর্ব বিন্যাস অনুসারে লেখেন
নি।দ্বিতীয় পর্বের পর সোজা বারো পর্বে হাত দিয়েছেন।" বিরহবাহী" কবিতা তে
তেমন পংক্তির উন্মাদনা ভেসে ওঠে।
"প্রথম
পংক্তির পর দুজনেই লেখে তৃতীয় পংক্তি।
দ্বিতীয় পংক্তিতে ছিল আমন্ত্রনের কথা
তৃতীয় পংক্তি তুমুল ভালবাসার------"
কবিতাটি শেষ হ য়
"কবিতার
এক পংক্তি স মান ক ত দূরত্ব
লিখতে ভুলে গেছেন ভালবাসার মানচিত্রকর।"
অথবা
"দাম্পত্য
প্রেম ছাড়া সমস্ত প্রেম
লুকিয়ে রাখা আছে মনের ভাঁজপত্রে।"
রোমান্টিক চেতনায় এম ন ক ব্জীর মোচড় অনেক প রিক্রমা না হলে সম্ভব নহে।
আর "দুঃখ কথায়" লেখা হ য়
"গোপনে
চোখের জল ও বিশ্বাসঘাতক। "
"সময়েরসেতু
"কবিতায়
আমার শ রীরে লেগে থাকা তোমার টুকরো ফ্রোজেন স্পর্শ গুলো/
ক ত অনায়াসে চূর্ণ হয়ে ঝরে বালিঘড়ির ছিদ্রপথে"
জাগতিক ভাবে আমরা অনেক কিছুই ছুঁয়ে থাকি।রোমান্টিক মননে সারাক্ষণ এক
দোলাচলে আর সংসয়ে ভিজে থাকে আর তা নিজের কাছে জিজ্ঞাসিত হয়----
" তুমি
ও কি কাউকে ছুঁয়ে নেই।"
অথবা "অধরা" কবিতায়
"আত্মজীবনীতে
অধরা অলিখিত সত্যি/
যেন প্রেমিক ছিলে না একরত্তি"
জীবনের সাথে সম্পর্ক আর সম্পর্কের সাথে জীবন বিনি সুতোয় গাঁথা শীলার সম্পর্ক
মন্দাস ত র ত র ক রে ভেসে যায়।পাঠক কে ভাসায়।এ মান্দাসে সবাই যাত্রী।ইচ্ছে
অনিচ্ছায়।
কোন ভনিতাহীন শব্দ যোজনা তার অস্ত্র।এক প্রেমিকার তন্মাত্রলিপি।সম্পর্কের
সাথে আপাত অসম্পর্ক আধুনিক কালের মনপ্রেমে সিক্ত।
তবে কবিতা নির্বাচনে আর ও নির্লিপ্ত সর্তকতার
দরকার ছিলো।
তবু সব ছাড়িয়ে নিবিড় রোমান্টিকতা নিটোল অধঃক্ষেপ টের পাবেন গভীরে গভীরে।
তাই "নেবুলা মেঘের মান্দাসে লেখা হয়
"যে
সমম্ত স্টেশনে ট্রেন ধীর গতি তাদের নাম বুঝি
দুঃখ আর অপমান।"।
শীলা বিশ্বাস
কাশক
ক লিকাতা লেটার প্রেস
প্রচ্ছদ
মৃণাল শীল
মূল্য
১০০ টাকা
"
খুব ভালো সমীক্ষা ।শীলা বিশ্বাসের কবিতা এই প্রশংসা deserve করে।অভিনন্দন শীলা বিশ্বাসকে।
ReplyDeleteধন্যবাদ দাদা
ReplyDelete